কোন দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ
কোন দেশের নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ?
সুতরাং এই দেশগুলির মধ্যে কয়েকটি নীচে আলোচনা করা হল:
সিঙ্গাপুর: আপনি যদি এই দেশে একটি ব্যবসা স্থাপন করেন, একটি চাকরি পান বা নাগরিকের সাথে বিয়ে করেন তবে আপনি একটি স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাবেন। দুই বছর স্থায়ী বসবাসের পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যেতে পারে, তবে বয়সের একটা ব্যাপার আছে। জেনে রাখা ভালো যে সিঙ্গাপুর দ্বৈত নাগরিকত্ব অনুমোদন করে না।
কানাডা: উত্তর আমেরিকার এই দেশটি এখন অনেকের স্বপ্নের দেশ। দেশটি অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য কিছু সহজ ও উদার শর্ত বেঁধে দিয়েছে। আপনি সহজেই তাদের দেশে 12টি নির্দিষ্ট বিভাগে চাকরির সুযোগ পেতে পারেন। তারপরে আপনি যদি 5 বছরে 730 দিন সেই দেশে থাকেন তবেই আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আর্জেন্টিনা: দেশে বসবাস করে প্রতি মাসে কমপক্ষে এক হাজার ডলার প্রত্যক্ষ/পরোক্ষ আয় দেখালে দুই বছর পর সে দেশের নাগরিক হতে পারবেন।
পানামা: আপনি যদি পানামার অভিবাসন নীতি দেখেন, আপনি মনে করবেন যে তারা অভিবাসীদের জন্য অপেক্ষা করছে। স্থায়ী বসবাসের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বিকল্প রয়েছে। প্রথমে তারা দুই বছরের স্থায়ী বসবাসের প্রস্তাব দিয়েছিল, যা প্রতি দুই বছরে নবায়ন করা যেতে পারে। এভাবে পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করার সুযোগ পাওয়া যায়।
পেরু: আপনি যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে থাকেন বা এই দেশে ব্যবসা শুরু করেন তাহলে দুই বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যাবে।
ক্যারিবিয়ান দেশ: একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে (অনেক ক্ষেত্রে সরকারকে দান করে) ক্যারিবিয়ান দ্বীপের একটি নির্দিষ্ট দেশের পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
নর্ডিক দেশ: এখানকার নাগরিকত্ব আইন বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের জন্য আলাদা। যাইহোক, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শর্ত পূরণ করা খুব কঠিন নয়। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন আইন আমাদের জন্য খুব কঠিন নয়। তাই কোনো দেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের শর্ত জানতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ওয়েবসাইটে গিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য পাওয়া ভালো।
ধন্যবাদ